রেখো না আবদ্ধ করে জমে থাকা অভিমান গুলো । দেখতে যেও না, খুঁজতে চেয়ো না, কে তোমার মন ছুঁলো; শুধু নিজেকে মানিয়ে নাও এই কৃত্রিমতার জগতের সাথে, আর্টিফিশিয়াল গোলাপেও আজ গন্ধ থাকে; শুধু থাকে না
Continue readingCategory: All Poets
আমি আজ ক্লান্ত – রেদোয়ান মাসুদ
চারিদিকে শুধু কষ্ট আর কষ্ট আমি আর পারছিনা কষ্টের ভারে আমি আজ ক্লান্ত। হাজার ফুলের গন্ধ চাঁদের সেই হাসি মাখা মুখ কিছুই যেন আজ আমাকে করতে পারছেনা শান্ত কারণ আমি আর পারছি না কষ্টের ভারে
Continue readingনীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটা
একটা ছেলে যখন একটা মেয়েকে নক দেয়, প্রথম দুই একদিন মেয়েটি কিছু না বললেও কয়েকদিন যেতেই মেয়েটি ছেলেটির সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে দেবে, অপমান করবে, রাগ দেখাবে অথবা ছেলেটার কোনো কথার আর কোনো উত্তর
Continue readingশুনুন কমরেডস – অমিতাভ দাশগুপ্ত
সব সময় বিপ্লবের কথা না ব’লে যদি মাঝে মাঝে প্রেমের কথা বলি— . আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস। সব সময় ইস্তেহার না লিখে যদি মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে
Continue readingযদি কখনও হারিয়ে যাই – রেদোয়ান মাসুদ
যদি কখনও হারিয়ে যাই না ফেরার দেশে, আমার কথা কখনও কি পড়বে তোমার মনে। যদি কখনও খবর পাও আমার চলে যাওয়ার কথা, হৃদয়ে জাগবে কি তোমার একটুখানি ব্যাথা? চলে গেলে দিও বিদায় হাসি ভরা মুখে,
Continue readingআমার নীরবতা আমার ভাষা – অমিতাভ দাশগুপ্ত
আমার হাতে কোনও শাবল ছিল না, বাটালিও নয়, তবু, এতদিন তিলে তিলে গড়ে তোলা দুর্গ এক দুপুরের বৃষ্টিতে কীভাবে ধুয়ে গেল! আর ওই বিশাল পাথুরে অবরোধ-ই যে আড়াল করে রেখেছিল হার্মাদের মত এক খ্যাপা নদী,
Continue readingJasim Uddin Quotes
Jasim Uddin জসীম উদ্ দীন (জানুয়ারি ১, ১৯০৩ – মার্চ ১৩, ১৯৭৬) একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তিনি বাংলাদেশে ‘পল্লী কবি’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। পুরো নাম জসীম উদ্
Continue readingমুক্তিযুদ্ধের কবিতা – বুদ্ধদেব বসু
আজ রাত্রে বালিশ ফেলে দাও, মাথা রাখো পরস্পরের বাহুতে, শোনো দূরে সমুদ্রের স্বর, আর ঝাউবনে স্বপ্নের মতো নিস্বন, ঘুমিয়ে পোড়ো না, কথা ব’লেও নষ্ট কোরো না এই রাত্রি- শুধু অনুভব করো অস্তিত্ব। কেন না কথাগুলোকে
Continue readingবসন্ত বন্দনা – Basanta Bondona – নির্মলেন্দু গুণ
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্রসঙ্গীতে যত আছে, হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে বনের কুসুমগুলি ঘিরে। আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা,—দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক। এলিয়ে পড়েছে হাওয়া,
Continue readingআমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি – নির্মলেন্দু গুণ
সমবেত সকলের মতো আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি, রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি। আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি। শহিদ মিনার থেকে খসে-পড়া
Continue readingদুঃখ করো না, বাঁচো – নির্মলেন্দু গুণ
দুঃখকে স্বীকার করো না, –সর্বনাশ হয়ে যাবে । দুঃখ করো না, বাঁচো, প্রাণ ভরে বাঁচো । বাঁচার আনন্দে বাঁচো । বাঁচো, বাঁচো এবং বাঁচো । জানি মাঝে-মাঝেই তোমার দিকে হাত বাড়ায় দুঃখ, তার কালো লোমশ
Continue readingখেলাঘর – নির্মলেন্দু গুণ
শিশুরা খেলাঘর করে । তারা হাঁড়ি-পাতিল, বাসন-কোসন নিয়ে বড়দের মতো সংসার সংসার খেলে । তারপর একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ঘুমভাঙ্গার পর শুরু হয় তাদের অন্যখেলা । এক্কা-দোক্কা, গোল্লাছুট কিংবা কানামাছি ভোঁ ভোঁ ! বড়োরাও
Continue readingতুমি ও কবিতা – মহাদেব সাহা
তোমার সাথে প্রতিটি কথাই কবিতা, প্রতিটি মুহুর্তেই উৎসব- তুমি যখন চলে যাও সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর সব আলো নিভে যায়, বইমেলা জনশূন্য হয়ে পড়ে, কবিতা লেখা ভুলে যাই। তোমার সান্নিধ্যের প্রতিটি মুহূর্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো মনোরম একেটি
Continue readingবসন্তের একটি বাংলা উদ্ধৃতি – মহাদেব সাহা
চুনা-ওঠা দেয়ালের মতো প্রকৃতির এই খসখসে গালে আর কী রং মাখাবে চৈত্র, তোমার পকেটে ভাঁজ-করা শতবর্ষের শীতকাল, মাতাল হাওয়ায় যতই এই বার্ধক্য ঢেকে দিতে চাও তার মুখমণ্ডলে জমে আছে উত্তর গোলার্ধের অনন্ত বরফ তার শরীর
Continue readingঘুম আর স্বপ্নের মহড়া – মহাদেব সাহা
কত দিন ঘুমের ভেতরে এই অনন্ত এস্রাজ, জলপরিদের ডানার কল্লোল বাতাসে উড়ছে তার উত্তাল সোনালি চুল, এই অস্থির স্বপ্নের মধ্যে হারিয়েছি সুখের শৈশব। আজ যতই খুলতে যাই ঘুমের তুড়িতে সেই নিঃশব্দ দরোজা অন্ধ প্রাচীর নেমে
Continue readingরেখে দিয়ো – মহাদেব সাহা
এখানে তোমাদের এই অশ্রুহীন চোখ, কয়েক লাইন বিদ্যা মুখস্থ করা গম্ভীর মুখ আর মলাট চিবানো দাঁত দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত; আমি তাই হাত বাড়িয়ে আছি তাদের দিকে যারা ডোবা বিল আর পুকুরে পদ্মফুল ফোটায়, বাংলা
Continue reading