Love story
থানার নতুন ইনচার্জ শামসুল হক সাহেব রিতু কে জানালেন আসামি নীল মাঝে মাঝে জেল হাজত থেকে হঠাৎ হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়,
উনি কি অদৃশ্য হওয়ার মন্ত্র জানে নাকি,
ইনচার্জ এর কথায় রিতু একটু ভাবনার জগতে চলে যায়,
এটা কি বলল একটা মানুষ কি করে আবার অদৃশ্য হয়ে যায় নাকি আমার সাথে মজা করছে,কিন্ত একজন ওসি কেনো মজা করবে,
ওসি শামসুল হক সাহেবের ডাকে রিতু ভাবনার জগত থেকে ফিরে আসে,
ভাবনার জগত থেকে ফিরে একবার নীলের দিকে চোখ বুলায়,
নীলের দিকে তাকিয়ে ভাবছে এই বোকা ছেলের দ্বারা এমন কোন কিছু করা কি সম্ভব।
অতিরিক্ত ভাবনা আর কিছু মানুষের
চক্রান্তের ফাঁদে পড়ছি না তো আবার তো নীলের চার দিকে শত্রুর অভাব নেই,
নীল রিতু কে ডাকলো,
Love story
নীল- আমাকে এখান থেকে বের করবে কবে,আমার এখানে একদম ভালো লাগে না,
রিতু- খুব তারাতাড়ি বের করবো,
নীল- আচ্ছা দাদু কেমন আছে সে আসে না কেনো আমাকে দেখতে,
রিতু- একটু অসুস্থ আছেন,,,, (মিথ্যা বলল)
নীল- আচ্ছা আমি কি অপরাধ করছি যার জন্য আমাকে এখানে আটকে রাখছে আবার মারে,,
রিতু- আমি জানি না কিন্ত খুব তারাতাড়ি বের করবো তোমাকে,,,তুমি একদম টেনশন করো না,,,,।।
বলে রিতু থানা থেকে বের হলো রিতু কে বারবার একটা জিনিস ভাবিয়ে তুলেছে নীল কি ভাবে জেল থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে,
রিতু বাসায় গিয়ে টিভি ছেড়ে দেশের একটু খবর নিচ্ছিলো কিন্ত ভালো লাগছিলো না বারবার চ্যানেল চেন্স করছিলো,
একটা মুভির দৃশ্যে রিতুর চোখ টা আটকে গেলো সেটা হল একটি নেতার আলাদা একটি গোপন কক্ষ খোঁজে পায় পুলিশ যেখানে সেই নেতা তার অবৈধ কাজ কর্ম করে থাকে,
সেই রুমের তল্লাশি নিয়ে পুলিশ অনেক কিছু পায়,,,
রিতুর মাথায় তখন একটা চিন্তা আসে
এই বাড়িতে এমন আলাদা কিছু নাই তো,
সেটা ভেবে রিতু অনেক খোঁজাখোজি করে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে বসে পড়ে,।
একটু জিড়িয়ে নেওয়ার জন্য
সোফায় মাথা হেলান দিয়ে বসে আছে
রিতু, হঠাৎ ফোন টা বের করে ইবু স্যার
কে ফোন দেয়,
রিতু ভাবলো একটু অপরাধীদের আঁতুড় ঘর দিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আসা যাক,
তাই একা বের হওয়া ঠিক হবে না,
ইবু স্যার কে নিয়ে যাওয়া যাক,
ইবু স্যার হচ্ছে রিতুর প্রেমে এক সময় দিওয়ানা ছিলো,এখন আপাতত উনি বিয়ে করে ঘর সংসার করছে,
কিন্ত ইবু স্যার ফোন টা রিসিভ করলো না,
তাই একটা মেসেজ করলো আমি অমুকখানে যাচ্ছি সময় মতো এসে পড়বেন,
Love story
তখন প্রায় সন্ধা নেমে আসছে বাহিরে
আবার বৃষ্টি হচ্ছে,
রেইনকোট গাঁয়ে চাপিয়ে বের হয়ে পড়লো রিতু,
রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে চলেছে পিচ ঢালা রাস্তায় গাড়ির হেডলাইট এর আলো পড়ে চকচক করছে
আবার কোথাও কোথাও তো পানি জমে আছে, জমে থাকা পানির উপর দিয়ে
দিয়ে গাড়ির চাকা আসে তখন রিতু কে লাফ দিয়ে সরে যেতে হয় না গায়ের উপর পানি আসবে,
আমার মনে গাড়ির ড্রাইভার গুলো ইচ্ছে করে আমাকে পানি দিচ্ছে,
হাটতে হাটতে চলে গেলো নিজের গন্তব্যে,
ভিতরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না এদিকে ইবু স্যার আসেনি,
Love story
এই বৃষ্টির মধ্যে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়,
পাশেই ছিলো মা রেস্তোরাঁ খাওয়ার হোটেল,
এই বৃষ্টির মধ্যে ভুনা খিচুড়ি আর ডিম
ভাজির সুগন্ধে আশেপাশে ছুড়িয়ে পড়েছে,
এমন প্রিয় খাবার রেখে কেমনে দাঁড়িয়ে থাকা যায়,
তাই রিতু লোভ সামলাতে না পেরে ভিতরে প্রবেশ করে,
কিন্ত তখন বিদ্যুৎ ছিলো না প্রতিটি টেবিলে ছিলো একটি করে মোমবাতি।
বেশ চমৎকারই লাগছিলো,
রিতু গিয়ে বসে পড়লো এক কোনের টেবিলে,আর গরম গরম প্রিয় খাবার গুলো অর্ডার করলো, কিন্ত ভয় হলো
এলাকাটি সন্ত্রাসীদের আতুড়ঘর, মনে হয় প্রতিদিন হোটেলটিতে কিছু বখাটে ছেলেপেলে বসে থাকে,আজও আছে,
এই অসময় মেয়ে মানুষ দেখে ছেলে গুলো আস্তে আস্তে রিতুর টেবিলের দিকে যেতে থাকে,
কিন্ত রিতু মন দিয়ে তার প্রিয় খাবার গুলো খাচ্ছে,,,
কিন্ত হোটেল যে কখন জনশূন্য হয়ে গেছে তা রিতু খেয়ালই করেনি,
রিতু পানির বোতল চাইতে গিয়ে তাকিয়ে দেখে কিছু ছেলে বসে আছে,
এক সাথে ছেলে গুলো কে দেখেই বুঝা যাচ্ছে নেশাপানি খায়,
কিন্ত একটু দূরেই একজন কালো পোশাক পড়া মুখ দেখা যাচ্ছে না,
কাটা চামচ দিয়ে কিছু খাচ্ছে কারণ শব্দ শুনে বুঝা যাচ্ছে,
রিতুর মনে পুরো ভয় ইবু স্যার কি এখনো আমার মেসেজ পায়নি,
Love story
ভয় হচ্ছে খুব,
এমন সময় বখাটে একটি ছেলে এসে খপ করে ধরে বলল চলো মামুনি এবার আমাদের খাওয়াবে বলে টান দিতেই।
হাতির মতো বিশাল পা দিয়ে ছেলেটির বুকে লাথি মারে,
ছেলেটি গিয়ে পড়ে বাকি বখাটেদের
সামনে তাকিয়ে দেখে বুকের হাড় গুলো পিঠের সাথে লেগে গেছে,
রিতু দেখলো পাশের টেবিলে বসা সেই লোক কিন্ত মুখ দেখা যাচ্ছে না।
লোকটি বুখাটেদের দিকে এগিয়ে যেতেই বিদ্যুৎ চলে আসে ফলে ছেলে গুলো লোকটিকে দেখে ফেলে আর বস বস বলে পায়ে পড়ে যায়,
লোকটি এক হাত উঁচু করে ৪ আঙুল
Love story
মোস্টি করে, আবার খোলে,
হোটেল এর মালিক বুঝে লাইট অফ করতে বলল,আবার অন,
লাইট অফ কিন্ত রিতু দেখতে পেলো না,
কিন্ত লাইট অন করতেই লোকটি আর নেই,,