Sad love
নীলের শরীরে নীল রক্ত, রিপোর্ট টা দেখে চমকে যায় রিতু,
মানে বিশ্বাস হচ্ছে না ,
রিতু আধো হাসি দিয়ে বললেন ওসি আকবর কে, আমাকে কি বোকা মনে হয় কোন দিক থেকে,
ওসি- দেখেন মিস রিতু প্রথম যখন
নীলের শরীর থেকে নীল রক্ত বের হতে
দেখলাম তখন আমারও বোকা হয়ে গিয়ে ছিলাম।
কিন্ত ডক্টর রা এর কোন ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই,
আপনার বিশ্বাস না হলে মেরে আবার রক্ত বের করে দেখাবো,
Sad love
রিতু-…….. কথা টা খুব কস্টে হজম করে বললেন, না তার দরকার নেই,
ওসি- এবার আসতে পারেন মিস রিতু,
রিতু- আমি কখন যাবো আসবো সেটা আপনার বলতে হবে না,,
ওসি- আপনার তো দেখি দেমাগ কম না ইচ্ছে করলে এখনি তা মাটির সাথে,
রিতু- আচ্ছা আপনার কি ছেড়া জুতা দিয়ে মাইর খাওয়ার শখ হয়েছে নাকি নতুন জুতা দিয়ে,
ওসি আকবর রেগে দাঁড়িয়ে গেলেন, আর বললেন মুখ সামলে কথা বলুন।
না হলে ভুলে যাবো,
Sad love
রিতু- আপনাকে ভুলে যেতে হবে না আপনাকে ভুলিয়ে দিবো জাস্ট ওয়েট
অ্যান্ড সি,
বলে রিতু থানা থেকে বের হয়ে গেলো,
নীল থানায় রিতু কি করবে বুঝতে পারছে না,
থানায় ফোন করে ছুটি বাতিল করলো,
রিতুর হাতে লাল টকটকে মেহেদী এখনো শুকাইনি।
আর ডিউটিতে জয়েন করতে হচ্ছে,
রিতু নীলের দাদুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের বাড়ি গেলো,
গিয়ে আগে রিতুর বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, বাবা তুমি আমাকে একটা কথা বলো তো,
বাবা- হুম কি?
Sad love
রিতু- তুমি নীলের বাবাকে কত বছর ধরে চিনো,
বাবা- নীলের বাবা আমার ছোট বেলার বন্ধু, কিন্ত দুঃখ একটাই সেটা হল আমার বন্ধুকে শেষ বেলায় দেখতে পারলাম না,
রিতু কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো দেখতে পারো নাই মানে?
বাবা- দেখতে পারি নাই মানে নীল আর ওর দাদু এই এলাকায় নতুন আসছে
মাত্র ৪মাস আগে,,
Sad love
রিতু- ওহ মাই গড,বাবা এই ভুল তুমি
কি ভাবে করলে,
বাবা-কেনো রে…মা আমি কি ভুল করলাম,
রিতু- তুমি চিনো না জানো না আর আমাকে বিয়ে দিয়ে দিলে,,
বাবা- নীলের বাবা আমার বন্ধু কি চিনবো জানবো,
Sad love
রিতু-দেখো বাবা নীল ইন্টারে পড়ে না ওর কলেজ থেকে যা জেনেছি,
আর নীল সাধারণ কোন মানুষ নয়,
বাবা- মানে কি বলছিস তুই নীল সাধারণ না তো কি?
রিতু- নীলের ব্লাড হচ্ছে ব্লু, ব্লু ব্লাড,
বাবা-কি বলিস,
রিতু- হুম, আর আমাকে নীল সম্পর্কে জানতেই হবে, আমি আজকেই থানায় জয়েন করছি,আমি এখন থানায় যাবো,
বাই বাবা,
Sad love
বলে বের হয়ে পড়লো রিতু,,,,
বাসায় বসে থাকলে তো আর নীল কে ছাড়ানো যাবে না,
চাইলেই ৫মিনিটের মধ্যে নীল কে ছাড়াতে পারি কিন্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, তাই অসৎ পন্থায় যেতে চাই না,
কিন্ত উর্ধতন কর্মকর্তা ধরে নীলের থানায় পোস্টিং নিলো রিতু আর ওসি আকবরের ট্রান্সফার করেই যাচ্ছেন ঐ থানায়,
পরের দিন থানায় জয়েন করে রিতু
কিন্ত দূর্ভাগ্যবশত নীলের কেইস টা
নিজের হাতে নিতে পারে না ওসি আকবার এমন চাল চেলে গেছে রিতুর হাতে কেস নিতে পারছে না,
আর সেদিন থানায় গিয়ে শুনে তাকে আরও ১৫দিন পর জয়েন করতে হবে কোন এক কারনে,
রিতু আবার হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে আসে বাড়ি বলতে শ্বশুর বাড়ি কাছে হওয়ায়,
কিন্ত দুঃখের কথা হল নীলের দাদু বাড়ি থেকে হাওয়া মানে নিখোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না,
এই বার রিতুর সন্দেহ ১০০ তে ১০০ মিলে গেলো,
এই সব নীলের সাজানো নাটক কিন্ত কোথা থেকে কি হয়েছে বুঝা যাচ্ছে না,
রিতু পুরো বাড়ি খুজতে লাগলো যদি কোন ক্লু পাওয়া যায় নীলের আসলে নীল কে কি চায়,
এমন সময় বাহিরে থেকে গুলির আওয়াজ আসে, ৬বার শ্যুট করে জানালা দিয়ে,
কিন্ত ভাগ্য ভালো রিতু তখন আলমারির পিছনে ছিলো,
তাই গুলি লাগে না,
কিন্ত না হলে খবর হয়ে যেতো রিতুর,
গুলি থামতেই রিতু নিজের নিজেরব
পিস্তল টা বের করে তাক করে একটি গুলি ছুড়তেই দুজন লোক বাইকে চেপে পালিয়ে যায়,
লোক দুটো হেলমেট পড়া ছিলো,
পরের দিন সকাল বেলা রিতু নীলের জন্য খাবার নিয়ে যায়,,
নীল কে আজ অন্য রকম লাগছে।
নীল এই প্রথম রিতুর নাম ধরে বলল,।
নীল- রিতু তুমি ঠিক আছো তো?
রিতু- হুম আমি ঠিক আছি কিন্ত…… বলতে চেয়ে রিতু আর কিছু বলল না,।
এই দিকে নীলের দাদু কে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা নীল কে বলল না,
কারণ রিতু যেনে গেছে এ আসল নীল না,আমার সামনে জেলে যে আছে নীল
রুপে অন্য কেউ কিন্ত কে তা জানা যাবে পরের পার্টে,,,,