সব সময় বিপ্লবের কথা না ব’লে যদি মাঝে মাঝে প্রেমের কথা বলি— . আমাকে ক্ষমা করবেন, কমরেডস। সব সময় ইস্তেহার না লিখে যদি মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে
Continue readingTag: প্রিয় কবিতা
ইচ্ছাপূরণ
ইচ্ছাপূরণ নীল রঙের নোনা ধরা দেওয়ালে হলদে হয়ে যাওয়া টিউব বাতির নীচে টানানো ঘড়িতে বাজে বারোটা চল্লিশ। রাত বারোটা চল্লিশ। না, এবার একটু বিশ্রাম নিতে হবে। কাল খবরের কাগজের অফিসে ইন্টার্ভিউ। সকাল সকাল উঠতে হবে।
Continue readingমুক্তিযুদ্ধের কবিতা – বুদ্ধদেব বসু
আজ রাত্রে বালিশ ফেলে দাও, মাথা রাখো পরস্পরের বাহুতে, শোনো দূরে সমুদ্রের স্বর, আর ঝাউবনে স্বপ্নের মতো নিস্বন, ঘুমিয়ে পোড়ো না, কথা ব’লেও নষ্ট কোরো না এই রাত্রি- শুধু অনুভব করো অস্তিত্ব। কেন না কথাগুলোকে
Continue readingদুঃখ করো না, বাঁচো – নির্মলেন্দু গুণ
দুঃখকে স্বীকার করো না, –সর্বনাশ হয়ে যাবে । দুঃখ করো না, বাঁচো, প্রাণ ভরে বাঁচো । বাঁচার আনন্দে বাঁচো । বাঁচো, বাঁচো এবং বাঁচো । জানি মাঝে-মাঝেই তোমার দিকে হাত বাড়ায় দুঃখ, তার কালো লোমশ
Continue readingরেখে দিয়ো – মহাদেব সাহা
এখানে তোমাদের এই অশ্রুহীন চোখ, কয়েক লাইন বিদ্যা মুখস্থ করা গম্ভীর মুখ আর মলাট চিবানো দাঁত দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত; আমি তাই হাত বাড়িয়ে আছি তাদের দিকে যারা ডোবা বিল আর পুকুরে পদ্মফুল ফোটায়, বাংলা
Continue readingআশাগুলি – নির্মলেন্দু গুণ
জ্যা-মুক্ত হয়নি চিত্ত অধীর মিলনে কোনোদিন । পরশে খুলেছে দ্বার, বারবার কেটেছে অস্থির ঘুমে শূন্য চিরশয্যা তুমি-হীন । অপক্ব মৈথুনে বিবসনা শ্লীলতা ভাঙেনি শব্দ, আমাদের অবিমৃষ্য যুগল যৌবন অথচ জেগেছে কামে সুপ্তোত্থিতে, প্রিয়তমে মুখর মৃণালে,
Continue readingআগুন আগুন – ময়ুখ চৌধুরী
তোমাকে দেখবো বলে একবার কী কাণ্ডটাইনা করেছিলাম ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার করে সমস্ত পাড়াটাকে চমকে দিয়ে তোলপাড় ক’রে সুখের গেরস্তালিতে ডুবে-যাওয়া লোকজনদের বড়শি-গাঁথা মাছের মতো বাইরে টেনে নিয়ে এলাম তুমিও এসে দাঁড়ালে রেলিঙে কোথায় আগুন?
Continue readingতোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি – মহাদেব সাহা
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি কতোবার দ্বারস্ত হয়েছি আমি গীতিকবিতার, কতোদিন মুখস্ত করেছি এই নদীর কল্লোল কান পেতে শুনেছি ঝর্ণার গান, বনে বনে ঘুরে আহরণ করেছি পাখির শিস্ উদ্ভিদের কাছে নিয়েছি শব্দের পাঠ; তোমাকে লিখবো
Continue readingলোকটা জানলই না – সুভাষ মুখোপাধ্যায়
বাঁ দিকের বুক পকেটটা সামলাতে সামলাতে হায়! হায় ! লোকটার ইহকাল পরকাল গেল ! অথচ আর একটু নীচে হাত দিলেই সে পেতো আলাদ্বীনের আশ্চর্য প্রদীপ, তার হৃদয় ! লোকটা জানলোই না ! তার কড়ি গাছে
Continue readingকবর – জসীম উদ্দিন
এই খানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম
Continue readingসোনার তরী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা ধান-কাটা হল সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা– কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা॥ একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা— চারি দিকে বাঁকা
Continue readingযাবার দিন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই – যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই। এই জ্যোতিসমুদ্র মাঝে যে শতদল পদ্ম রাজে তারি মধু পান করেছি, ধন্য আমি তাই। যাবার দিনে এই কথাটি
Continue readingমেঘের পরে মেঘ জমেছে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মেঘের পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে- আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের পাশে। কাজের দিনে নানা কাজে থাকি নানা লোকের মাঝে, আজ আমি যে বসে আছি তোমারই আশ্বাসে। আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের
Continue readingআমাকে একটি কথা দাও – জীবনানন্দ দাশ
আমাকে একটি কথা দাও যা আকাশের মতো সহজ মহৎ বিশাল, গভীর; – সমস্ত ক্লান্ত হতাহত গৃহবলিভুকদের রক্তে মলিন ইতিহাসের অন্তর ধুয়ে চেনা হাতের মতন, আমি যাকে আবহমান কাল ভালোবেসে এসেছি সেই নারীর। সেই রাত্রির নক্ষত্রালোকিত
Continue readingমাস্টার বাবু – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমি আজ কানাই মাস্টার, বড় মোর বেড়াল ছানাটি আমি ওকে মারি নে মা বেত, মিছিমিছি বসি নিয়ে কাঠি। রোজ রোজ দেরি করে আসে, পড়াতে দেয় না ও তো মন, ডান পা তুলিয়ে তোলে হাই, যত
Continue readingএই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি – জীবনানন্দ দাশ
এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি — আমি হৃষ্ট কবি আমি এক; — ধুয়েছি আমার দেহ অন্ধকারে একা একা সমুদ্রের জলে; ভালোবাসিয়াছি আমি রাঙা রোদ, ক্ষান্ত কার্তিকের মাঠে — ঘাসের আঁচলে ফড়িঙের মতো আমি
Continue reading