একটা ছেলে যখন একটা মেয়েকে নক দেয়, প্রথম দুই একদিন মেয়েটি কিছু না বললেও কয়েকদিন যেতেই মেয়েটি ছেলেটির সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে দেবে, অপমান করবে, রাগ দেখাবে অথবা ছেলেটার কোনো কথার আর কোনো উত্তর
Continue readingTag: Bangla Poem
অপ্রকাশিত ভালোবাসা
অপ্রকাশিত ভালোবাসা কোন এক বসন্তের প্রাণবন্ত সকাল। অনির্দিষ্টের মতো ছেলেটা একটা শপিং কমপ্লেক্সের ভিতর এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে। একসময় তার চোখ পড়ে যায় একটা CD-স্টোরের কাউন্টারে দাঁড়ানো খুব সুন্দর একটা মেয়ের দিকে। মেয়ের হাসিটা ছিল
Continue readingমুক্তিযুদ্ধের কবিতা – বুদ্ধদেব বসু
আজ রাত্রে বালিশ ফেলে দাও, মাথা রাখো পরস্পরের বাহুতে, শোনো দূরে সমুদ্রের স্বর, আর ঝাউবনে স্বপ্নের মতো নিস্বন, ঘুমিয়ে পোড়ো না, কথা ব’লেও নষ্ট কোরো না এই রাত্রি- শুধু অনুভব করো অস্তিত্ব। কেন না কথাগুলোকে
Continue readingআমার কুঁড়েঘরে – হুমায়ুন আজাদ
আমার কুঁড়েঘরে নেমেছে শীতকাল তুষার জ’মে আছে ঘরের মেঝে জুড়ে বরফ প’ড়ে আছে গভীর ঘন হয়ে পাশের নদী ভ’রে বরফ ঠেলে আর তুষার ভেঙে আর দু-ঠোঁটে রোদ নিয়ে আমার কুঁড়েঘরে এ-ঘন শীতে কেউ আসুক আমার
Continue readingভালো থেকো – হুমায়ুন আজাদ
ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল, ভালো থেকো। ভালো থেকো ধান, ভাটিয়ালি গান, ভালো থেকো। ভালো থেকো মেঘ, মিটিমিটি তারা। ভালো থেকো পাখি, সবুজ পাতারা। ভালো থেকো। ভালো থেকো চর, ছোট কুড়ে ঘর, ভালো থেকো। ভালো
Continue readingযাবার দিন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই – যা দেখেছি, যা পেয়েছি, তুলনা তার নাই। এই জ্যোতিসমুদ্র মাঝে যে শতদল পদ্ম রাজে তারি মধু পান করেছি, ধন্য আমি তাই। যাবার দিনে এই কথাটি
Continue readingনীলিমা – জীবনানন্দ দাশ
রৌদ্র ঝিল্মিল, উষার আকাশ, মধ্য নিশীথের নীল, অপার ঐশ্বর্যবেশে দেখা তুমি দাও বারে বারে নিঃসহায় নগরীর কারাগার-প্রাচীরের পারে! -উদ্বেলিছে হেথা গাঢ় ধূম্রের কুণ্ডলী, উগ্র চুল্লিবহ্নি হেথা অনিবার উঠিতেছে জ্বলি, আরক্ত কঙ্করগুলো মরুভূর তপ্তশ্বাস মাখা, মরীচিকা-ঢাকা!
Continue readingকথোপকথন-৪ – পূর্ণেন্দু পত্রী
– যে কোন একটা ফুলের নাম বল – দুঃখ । – যে কোন একটা নদীর নাম বল – বেদনা । – যে কোন একটা গাছের নাম বল – দীর্ঘশ্বাস । – যে কোন একটা নক্ষত্রের
Continue readingনির্জন স্বাক্ষর – জীবনানন্দ দাশ
তুমি তা জানো না কিছু, না জানিলে- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে! যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে, পথের পাতার মতো তুমিও তখন আমার বুকের ‘পরে শুয়ে রবে? অনেক ঘুমের ঘোরে ভরিবে কি মন
Continue readingআমি চলে যাচ্ছি – নির্মলেন্দু গুণ
জয় করবার মতো একটি মনও যখন আর অবশিষ্ট নেই, তখন আমার আর বসে থেকে কী প্রয়োজন? আমি যাই। তোমরা পানপাত্র হাতে হোয়াং হো রেস্তোঁরার নির্জনতায় মৃদু আলোর নিচে বসে মৃদুলের গান শোনো, আমি যাই। মহাদেব-নীলা-অসীম-অঞ্জনা-কবীর-বদরুন
Continue readingআমাকে কী মাল্য দেবে, দাও – নির্মলেন্দু গুণ
তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হব, আমাকে কী মাল্য দেবে, দাও। এই নাও আমার যৌতুক, এক-বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা। ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের জলে, আমিও প্লাবন হব, শুধু চন্দনচর্চিত হাত একবার বোলাও কপালে। আমি জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে উড়াব
Continue readingভালোবাসা, ভারসাম্যহীন – নির্মলেন্দু গুণ
বাঁশির কাছে যে-সুরের প্রত্যাশা সে-প্রত্যাশা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমি আমার বাঁশিটি বাজাতে চাই। যে-পর্যন্ত স্থলিত হয়না বীর্য সে-পর্যন্ত জীবের সঙ্গম। জয়ী না-হওয়া পর্যন্ত আমি পরাভাবকে স্বীকার করি না। ভালো না-বেসেই যদি ভালোবাসা পাই। ভাবি,
Continue readingমুখোমুখি – নির্মলেন্দু গুণ
তাড়াতে তাড়াতে তুমি কতদূর নেবে? এই তো আবার আমি ফিরে দাঁড়িয়েছি । জীবনের নশ্বর শরীর ছুঁয়ে যে বালক একদিন উত্তাল নদীর জলে ঝাঁপ দিয়েছিল, সাপের ফণায় তার কচি হাত রেখে যে বালক বলেছিল মনসাকে আমি
Continue readingআগ্নেয়াস্ত্র – নির্মলেন্দু গুণ
পুলিশ স্টেশনে ভিড়,আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিচ্ছে শহরের সন্দিগ্ধ সৈনিক।সামরিক নির্দেশে ভীত মানুষের শটগান,রাইফেল,পিস্তল এবং কার্তুজ,যেন দরগার স্বীকৃত মানত,টেবিলে ফুলের মতো মস্তানের হাত। আমি শুধু সামরিক আদেশ অমান্য করে হয়ে গেছি কোমল বিদ্রোহী,প্রকাশ্যে ফিরছি ঘরে অথচ আমার
Continue readingআবার যখনই দেখা হবে – নির্মলেন্দু গুণ
আবার যখনই দেখা হবে, আমি প্রথম সুযোগেই বলে দেব স্ট্রেটকাটঃ ‘ভালোবাসি’। এরকম সত্য-ভাষণে যদি কেঁপে ওঠে, অথবা ঠোঁটের কাছে উচ্চারিত শব্দ থেমে যায়, আমি নখাগ্রে দেখাবো প্রেম, ভালোবাসা, বক্ষ চিরে তোমার প্রতিমা। দেয়ালে টাঙ্গানো কোন
Continue readingএই জল ভালো লাগে – জীবনানন্দ দাশ
এই জল ভালো লাগে; বৃষ্টির রূপালি জল কত দিন এসে ধুয়েছে আমার দেহ — বুলায়ে দিয়েছে চুল — চোখের উপরে তার শান — স্নিগ্ধ হাত রেখে কত খেলিয়াছে, — আবেগের ভরে ঠোঁটে এসে চুমা দিয়ে
Continue reading